গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ক’তফশিলভূক্ত অর্পিত সম্পত্তি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ব্যক্তির অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ইজারা মূল্যের বিনিময়ে এবং সরকার কর্তৃক আরোপিত সকল শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে এসব সম্পত্তির ইজারা প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়। শর্ত ভঙ্গ করা হলে কিংবা অন্য যে কোন যৌক্তিক কারণে পূর্বের ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে অন্য কোনো ব্যক্তির অনুকূলেও এ সম্পত্তি ইজারা প্রদান করা যেতে পারে। অর্পিত সম্পত্তির ইজারা নবায়ন কিংবা নতুনভাবে ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কার্যক্রম সরকারের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ইজারা নবায়নে আগ্রহী কিংবা নতুন করে ইজারা গ্রহণে আগ্রহী ব্যক্তিকে সরাসরি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে এ সংক্রান্ত আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রাপ্তির পর সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরণ করা হয়। ইতিবাচক প্রতিবেদন এলে এ বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করে পক্ষগণকে নোটিশ প্রদান করা হয়; ধার্য তারিখে শুনানি গ্রহণ এবং রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই ও মূল্যায়নপূর্বক অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাঠানো হয়। সেখানে অনুমোদিত হলে উক্ত প্রস্তান-নথি পুনরায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। অতঃপর ধার্যকৃত ইজারা মূল্য (লীজমানি) পরিশোধের জন্য ইজারা গ্রহীতাকে পত্র প্রেরণ করা হয় এবং পরবর্তীতে ডিসিআরমূলে উক্ত ইজারার অর্থ আদায় এবং সংশ্লিষ্ট নথিটি সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, জেলা সদরের পৌরসভা এলাকার জমির ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়।
অর্পিত সম্পত্তির ইজারা নবায়নের ক্ষেত্রে সাধারণত ৩-৫ কার্যদিবসের মধ্যে, এবং নতুন করে ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে মোটামুটি ১৪-২১ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এজন্য সরকার নির্ধারিত ইজারা মূল্য ছাড়া অন্য কোনো খরচ নেই। ইজারা নবায়নের ক্ষেত্রে আগ্রহী ব্যক্তি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল থাকা অত্যাবশ্যক। আবেদনের জন্য যেসব কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হবেঃ
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিংবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছ থেকে কাঙ্খিত প্রতিকার না পাওয়া গেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর বরাবরে আবেদন করা যাবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS